 के बारे में

होम

हेल्थ रील्स

प्लेलिस्ट

वीडियो

বর্তমানে আমাদের দেশে শতকরা ১০-১২ শতাংশ মানুষের কিডনি স্টোন (kidney stone) পরিলক্ষিত হয়ে থাকে এবং এদের মধ্যে অনেকেরই কিডনি তে বারংবার এই স্টোন তৈরি হয়ে থাকে। সচরাচর ক্যালসিয়াম অক্সালেট (calcium oxalate) স্টোন দেখতে পাওয়া যায়, এছাড়া ইউরিক অ্যাসিড বা ফসফেট স্টোন ও অন্যতম। এর নানাবিধ কারণ হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ জলপান না করা, অতিরিক্ত আমিষ প্রোটিন গ্রহণ করার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান বেড়ে যাওয়া, এলকোহল পান করা ইত্যাদি। এছাড়াও জেনেটিক কারণেও কিডনি তে স্টোন হতে পারে। কিডনি স্টোন এর অন্যতম লক্ষণ হলো পিঠে বা কোমরে প্রবল যন্ত্রণা, তার সাথে জ্বর, বমি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মূত্রের সাথে রক্ত নির্গমন। অনেকের ক্ষেত্রে কোনোরকম লক্ষন পরিলক্ষিত  হয় না, স্টোন আকারে বেড়ে গিয়ে মূত্র নির্গমনে বাধা দেয় এবং যার ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। কিডনি স্টোন নির্ণয়ের কার্যকরী উপায় হলো ultrasound বা CT- scan। এছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম বা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমেও কিডনি স্টোন চিহ্নিত করা সম্ভব। বর্তমানে এই স্টোন বের করার  জন্য অনেক রকমের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে,  যেমন- এন্ডোস্কোপিক  রিমুভাল , আল্ট্রাসাউন্ড-এর মাধ্যমে স্টোন বিনষ্ট করা ইত্যাদি। স্টোন এর আকার বড়ো হলে তাকে অপারেশন করে বের করতে হয়। যেহেতু একবার কিডনি তে স্টোন হলে তা পুনরায় হওয়ার সম্ভবনা থাকে, তাই এসব ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা নেওয়া উচিত। এরকম রোগীদের দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ জলপান করা উচিত, খাদ্যে নুন এর পরিমাণ কমানো উচিত, এলকোহল বর্জন করা উচিত, এছাড়াও কিছু বিশেষ ধরণের খাদ্য যেমন পালং শাক, টমেটো, কাজুবাদাম ইত্যাদি কম খাওয়া উচিত। নিয়মিত পাতিলেবু বা কমলালেবু খেলেও স্টোন তৈরী হওয়াতে বাধা সৃষ্টি হয়।  ডাঃ প্রতীক ত্রিপাঠি, নেফ্রোলজিস্ট, জয়পুর,  কিডনি স্টোন এর কারণ, লক্ষণ  এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

Dr. Pratik Tripathi